শ্রীকান্ত (১ম পর্ব)

✒️লেখক : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ‍্যায় (১৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ – ১৬জানুয়ারি, ১৯৩৮)

✒️ লেখক পরিচিতি : বঙ্কিম – রবীন্দ্র প্রবর্তিত বাংলা উপন‍্যাসের পথকে আরো প্রশস্ত করেছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ‍্যায়। বাংলা উপন‍্যাসের ক্ষেত্রে শরৎচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ প্রদর্শিত বাস্তবতার ধারা অনুসরণ করলেও অভিজাত সম্প্রদায়ের কাহিনি থেকে সরে এলেন। তাঁর মৌলিকত্ব নিহিত আছে প্রথানুগত‍্য সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের শক্তিগুলিকে সমর্থনের মধ‍্য দিয়ে।এ সম্পর্কে শরৎচন্দ্রের নিজস্ব মতামত – “সমাজের সঙ্গে মিলে মিশে এক হয়ে তার ভিতরের বাসনা কামনার আভাস দেওয়াই সাহিত‍্য। ভাবে, কাজে, চিন্তায় মুক্তি এনে দেওয়াই তো সাহিত‍্যের কাজ।” তবে এ কথাও ঠিক যে তিনি সমস‍্যাগুলোর প্রতি আলোকপাত করলেও সমাধানের পথ দেখাননি।
‘চোখের বালি'(১৯০৩) উপন‍্যাসের সমসাময়িক কালে শরৎচন্দ্র ‘মন্দির’ গল্প লিখে কুন্তলীন পুরস্কার পায়। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় প্রথম মুদ্রিত উপন‍্যাস ‘বড়দিদি’। তিনি মোট ২৪টি উপন‍্যাস লিখেছেন যা চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায় –
● সূচনা পর্ব – ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ
বড়দিদি, পরিণীতা, বিরাজবৌ
● প্রস্তুতি পর্ব – ১৯১৪ – ১৯১৬
পন্ডিতমশাই, পল্লীসমাজ, চন্দ্রনাথ, মেজদিদি, অরক্ষণীয়া
● শীর্ষ পর্ব – ১৯১৭ – ১৯২৭
শ্রীকান্ত(১ম), দেবদাস, নিষ্কৃতি, চরিত্রহীন, দত্তা, স্বামী, শ্রীকান্ত(২য়), বামুনের মেয়ে, গৃহদাহ, দেনাপাওনা, নববিধান, পথের দাবী, শ্রীকান্ত(৩য়),
● সমাপ্তি পর্ব – ১৯৩১ – ১৯৩৫
শেষ প্রশ্ন, শ্রীকান্ত (৪র্থ), বিপ্রদাস, শুভদা, শেষের পরিচয়
★ শেষ উপন‍্যাস দুটি অসম্পূর্ণ।

✒️ প্রথম প্রকাশ :
● প্রথম পত্রিকায় প্রকাশ – ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় ১৩২২ সালের মাঘ মাস থেকে ১৩২৩ সালের মাঘ মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘শ্রীকান্তের ভ্রমণকাহিনি’ নামে। মাঘ ও ফাল্গুন প্রথম দুই মাস লেখকের নাম থাকে শ্রী শ্রীকান্ত শর্মা। পরের দুইমাস শ্রী শরচ্চন্দ্র চট্টোপাধ‍্যায়। তারপর থেকে শ্রী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ‍্যায়।
● প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশ – ১২ইফেব্রুয়ারি, ১৯১৭, মাঘ, ১৩২৩।

✒️ উৎসর্গ :

✒️ পরিচ্ছেদ সংখ‍্যা : ১২

✒️ প্রকার : আত্মজীবনীর ছলে লেখা উপন‍্যাস।

✒️ বিষয়বস্তু : ‘শ্রীকান্ত’ উপন‍্যাসের মোট চারটি পর্ব, যেখানে প্রধান চরিত্র শ্রীকান্ত তার ভবঘুরে জীবনের নানা অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন প্রৌঢ় জীবনে এসে। উপন‍্যাসের প্রথম পর্বে আছে কৈশোর এবং যৌবনকালের কথা। এই সময়ের কথা লিখতে বসে উপন‍্যাসে হাজির হয়েছে ইন্দ্রনাথের প্রতি মুগ্ধতা, নতুনদার প্রতি বিতৃষ্ণা, অন্নদাদিকে কেন্দ্র করে সমস্ত নারীজাতির প্রতি শ্রদ্ধা, সন্ন‍্যাস জীবন এবং রাজলক্ষীর প্রতি শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালোবাসা।  আর এইসকল চরিত্রগুলিকে কেন্দ্র করে সমাজের নানা সমস‍্যাগুলিকে শরৎচন্দ্র লিপিবদ্ধ করেছেন উপন‍্যাসটিতে।

ব‍্যক্তি পরিচয়

বড়দা – নবীন

মেজদা – সতীশ

ছোড়দা – কেশব

সমবয়সি দাদা – যতীন

পিসেমশাই – দ্বারিকবাবু

তবলাবাদক – ছোট্টুলাল

দারোয়ান – গণেশ পাঁড়ে

খানসামা – রতন পরামানিক

দলের প্রধান শিকারী – সরযূ

শিকার করতে জানে না – পুরুষোত্তম

★ ইন্দ্রনাথ চরিত্রে রাজেন্দ্রনাথ মজুমদারের ছায়া আছে।

★ কুমারজীর চরিত্রে মহাদেব সাহুর ছায়া আছে।

উল্লেখযোগ‍্য ঘটনাপঞ্জি

ইন্দ্রনাথ চরিত্র
মেজদার পড়ানো                             ১ নং
ছিনাথ বহুরূপী

ইন্দ্রর মাছ ধরা                                  ২ নং

নৌকায় রাত্রিযাপন
মৃতছেলে সৎকার                              ৩ নং

শ্রীকান্তর জ্বর,
অন্নদাদিদি।                                       ৪ নং

শাহজীর মৃত‍্যু
অন্নদাদির চিঠি।                                ৬ নং

নতূন দা
ইন্দ্র সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ                         ৭ নং

শিকার দল
নিরুদিদি                                              ৮ নং
রাজলক্ষী বৃত্তান্ত

সন্ন‍্যাস,
জ্বর                                                     ১১ নং
পিয়ারীকে টেলিগ্রাম

বঙ্কুর পরিচয়
পাটনা                                                  ১২ নং